বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মিলন। এই গাইডে আপনি প্রতিটি জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল বিবরণ পাবেন। প্রাচীন মন্দির, ঐতিহাসিক মসজিদ, মনোরম পাহাড়, মনমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকত ও জীবন্ত বনভূমির মতো আকর্ষণগুলো তুলে ধরা হয়েছে এখানে। বাংলাদেশের পর্যটনপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ভ্রমণ সহচর।
বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ:
১. কক্সবাজার জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পাহাড়, ঝরনা ও সবুজ বনভূমিতে পরিপূর্ণ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা প্লেনে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
- ইনানী ও হিমছড়ি
- মহেশখালী দ্বীপ
- রামু বৌদ্ধ বিহার
- মারিশবুনিয়া জলপ্রপাত
বিশেষ তথ্য: পর্যটনের জন্য বছরের প্রায় সবসময়ই উপযুক্ত। হোটেল, রিসোর্ট ও খাবারের দোকানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
২. সিলেট জেলা-
অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: চা-বাগান, পাহাড় ও জলাভূমির অপূর্ব সমন্বয়।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন, বাস ও প্লেন সুবিধা রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- জাফলং
- বিছানাকান্দি
- রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
- লালাখাল
- হযরত শাহজালাল (র.) মাজার
বিশেষ তথ্য: বর্ষায় প্রকৃতি আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে। ফটো তুলতে ও প্রাকৃতিক ভ্রমণের জন্য আদর্শ।
৩. রাজশাহী জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী তীরবর্তী শহর; শীতকালে নানারকম পাখির আবাসস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রেল, বাস ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সহজে পৌঁছানো যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
- পুঠিয়া রাজবাড়ি
- বাঘা মসজিদ
- পদ্মা নদীর তীর
বিশেষ তথ্য: আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিক স্থাপনার ভাণ্ডার।
৪. বান্দরবান জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, ঝরনা ও আদিবাসী সংস্কৃতির মিলনস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চট্টগ্রাম থেকে বাসে যেতে হয়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- নীলগিরি ও নীলাচল
- বগা লেক
- চিম্বুক পাহাড়
- স্বর্ণ মন্দির
বিশেষ তথ্য: পাহাড়ি পথে ভ্রমণের সময় সতর্কতা আবশ্যক। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।
৫. সুন্দরবন (বাগেরহাট জেলা)-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা বা মংলা থেকে নৌকায় যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- হিরণ পয়েন্ট
- কচিখালি
- হারবাড়িয়া
- করমজল
বিশেষ তথ্য: এটি একটি UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য অনুরাগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ও চিত্তাকর্ষক ভ্রমণ গন্তব্য।
৬. দিনাজপুর জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও মাঠঘেরা সমতল অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ট্রেন ও বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কান্তজিউ মন্দির
- রামসাগর দীঘি
- নবারুণ পার্ক
বিশেষ তথ্য: কান্তজিউ মন্দির বাংলাদেশের অনন্য স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর একটি।
৭. মৌলভীবাজার জেলা-
অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: চা-বাগান ও পাহাড়ি বনাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট হয়ে বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
- হাম হাম ঝরনা
- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
বিশেষ তথ্য: জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ও ট্রেকিংয়ের জন্য আদর্শ এলাকা।
৮. চট্টগ্রাম জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, সমুদ্র ও বন্দরনগরী একত্রে মিলিত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রেল, বাস ও প্লেনে সহজে পৌঁছানো যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
- ফয়’স লেক
- বাটালি হিল
- চট্টগ্রাম যুদ্ধ জাদুঘর
বিশেষ তথ্য: বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতির ছোঁয়াও রয়েছে।
৯. কুড়িগ্রাম জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদী ও নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বাস ও ট্রেনে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- চিলমারী নদীর ঘাট
- নাগেশ্বরী মন্দির
- ফুলবাড়ী চরাঞ্চল
বিশেষ তথ্য: মেঘলা দিনে চর এলাকায় সূর্যাস্ত অসাধারণ দৃশ্য দেয়।
১০. নড়াইল জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবেষ্টিত অঞ্চল, গ্রামীণ সৌন্দর্যে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- এসএম সুলতান স্মৃতি জাদুঘর
- চিত্রা নদী
- লোহাগড়া রাজবাড়ি
বিশেষ তথ্য: চিত্র শিল্পী এসএম সুলতানের জন্মভূমি। কৃষ্টিমুখর পরিবেশ।
১১. ময়মনসিংহ জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদী, সবুজ মাঠ ও নদীঘেরা শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন, বাস ও সিএনজিতে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
- শশী Lodge
- ধোবাউড়া পাহাড়ি এলাকা
বিশেষ তথ্য: সংস্কৃতিমনস্ক শহর, সাহিত্যিক ময়মনসিংহ গীতিকার জন্য বিখ্যাত।
১২. রাঙ্গামাটি জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, লেক ও আদিবাসী সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কাপ্তাই লেক
- শুভলং ঝরনা
- রাঙ্গামাটি হাংগিং ব্রিজ
- রাজবন বিহার
- সাজেক ভ্যালি
বিশেষ তথ্য: নৌভ্রমণের জন্য আদর্শ। পাহাড়ি খাবার ও সংস্কৃতি অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
১৩. কুমিল্লা জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতলভূমি ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ট্রেন রুটে অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- ময়নামতি জাদুঘর ও বৌদ্ধ বিহার
- সালনা রাজবাড়ি
- ধর্মসাগর দীঘি
বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনসমূহ এখানে সংরক্ষিত।
১৪. বরিশাল জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবহুল অঞ্চল; গ্রামবাংলার শান্ত পরিবেশ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: নৌপথে লঞ্চে ঢাকা থেকে যাওয়া যায়। এছাড়া রেল ও সড়কপথও রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- দুর্গাসাগর দীঘি
- গুটিয়াকালী মন্দির
- লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী শহর।
১৫. ফরিদপুর জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও ফসলি মাঠে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও প্রাইভেট কারে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- পদ্মা নদীর পাড়
- শ্রীঅঙ্গন মঠ
- রাজেন্দ্র কলেজ
বিশেষ তথ্য: বাঙালি নেতাদের অন্যতম মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান।
১৬. গাজীপুর জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বনাঞ্চল ও আধা-শহুরে পরিবেশের মিশেল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকার খুব কাছেই, সড়কপথে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
- ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
- নন্দন পার্ক
বিশেষ তথ্য: পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য।
১৭. নারায়ণগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও শিল্পাঞ্চলের শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সড়ক ও রেলপথে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর
- পানাম নগর
- মেঘনা নদীর তীর
বিশেষ তথ্য: ঐতিহ্যবাহী “পানাম সিটি” দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর।
১৮. টাঙ্গাইল জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চরাঞ্চল ও হাওরের সমন্বয়ে গঠিত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মহেরা জমিদার বাড়ি
- ধনবাড়ি নবাব বাড়ি
- মধুপুর গড়
বিশেষ তথ্য: বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তিস্থল।
১৯. নেত্রকোনা জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়ি নদী ও হাওরের সমন্বয়।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ হয়ে বাস ও সিএনজিতে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড়
- দূর্গাপুর শহর
- মোহনগঞ্জ হাওর
বিশেষ তথ্য: বর্ষাকালে হাওর এলাকা অপূর্ব সৌন্দর্যে ভরে ওঠে।
২০. সিরাজগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: যমুনা নদীবেষ্টিত অঞ্চল; চরাঞ্চল বেশ বিস্তৃত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ট্রেন ও বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- যমুনা সেতু
- হার্ডিঞ্জ ব্রিজ (ভাগে পড়ে)
- এনায়েতপুর দরগা
বিশেষ তথ্য: যমুনা নদী ও সেতু দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
২১. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও আমের বাগানে পরিপূর্ণ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী হয়ে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সোনা মসজিদ
- নাচোল রাজবাড়ি
- আম বাগান পর্যটন এলাকা
বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের ‘আমের রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত।
২২. ঝিনাইদহ জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতল ভূমি ও কৃষিভিত্তিক অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও খুলনা থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- নারায়ণপুর মন্দির
- কোটচাঁদপুর শিব মন্দির
- মহেশপুর জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: গ্রামীণ সৌন্দর্যে ঘেরা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ।
২৩. লক্ষ্মীপুর জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মেঘনা নদীবেষ্টিত উপকূলীয় সমতল অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মজু চৌধুরীর হাট
- রামগতি মেঘনা পাড়
- চর আলেকজান্ডার
বিশেষ তথ্য: সুন্দর চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী পর্যটনের জন্য জনপ্রিয়।
২৪. নোয়াখালী জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: উপকূলীয় পরিবেশ, চরাঞ্চল এবং কৃষিভিত্তিক এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সোনাপুর সৈকত
- চর কুকরি-মুকরি
- বেগমগঞ্জ জাদুঘর
বিশেষ তথ্য: বঙ্গোপসাগরের নিকটে অবস্থান, চরভ্রমণে আকর্ষণীয় স্থান।
২৫. মাদারীপুর জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীবেষ্টিত এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ফেরি ও সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কাঠালতলী জমিদার বাড়ি
- শিবচর নদীর পাড়
- গোপালপুর চৌধুরী বাড়ি
বিশেষ তথ্য: নদীকেন্দ্রিক জীবনধারা এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়।
২৬. শরীয়তপুর জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীমাতৃক পরিবেশ ও সবুজ চরাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- নড়িয়া নদীর পাড়
- ডামুড্যা হাওর
- জাজিরা চরের প্রাকৃতিক দৃশ্য
বিশেষ তথ্য: নদীভ্রমণ এবং মাছ ধরার জন্য আদর্শ স্থান।
২৭. পিরোজপুর জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, খাল ও গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল হয়ে বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- ভাণ্ডারিয়া বন
- মঠবাড়িয়া কুঠিবাড়ি
- স্বরূপকাঠি নদীবন্দর
বিশেষ তথ্য: নৌপথে ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় একটি জেলা।
২৮. ঝালকাঠি জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন ও খালবেষ্টিত জনপদ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল ও পিরোজপুর থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- গাবখান চ্যানেল
- সুন্দরবন উপকণ্ঠ
- ঝালকাঠি খেয়াঘাট
বিশেষ তথ্য: আদর্শ নদীভ্রমণ ও কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ছবি তোলার স্থান।
২৯. ভোলা জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল থেকে লঞ্চে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- চর কুকরি-মুকরি
- মনপুরা দ্বীপ
- ভোলা শহরের নদীপাড়
বিশেষ তথ্য: চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ ও ছবির মতো নৈসর্গিক।
৩০. পটুয়াখালী জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমুদ্র ও নদীঘেরা উপকূলীয় জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে লঞ্চ অথবা বরিশাল হয়ে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- লেম্বুর চর
- সুন্দরি বনাংশ
বিশেষ তথ্য: সাগর দেখার একমাত্র স্থান যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়।
৩১. বরগুনা জেলা-
অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সাগর ও বনাঞ্চলের মিলনে গঠিত উপকূলীয় এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল থেকে বাস ও লঞ্চে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- তালতলী সমুদ্র সৈকত
- পাথরঘাটা মৎস্যবন্দর
- বিবিচিনি মসজিদ
বিশেষ তথ্য: সুন্দরবনের উপকণ্ঠে হওয়ায় জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।
৩২. চাঁদপুর জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মেঘনা ও পদ্মার মিলনস্থল। ইলিশের জন্য বিখ্যাত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মিনি কক্সবাজার
- বড়স্টেশন চাঁদপুর
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
বিশেষ তথ্য: মেঘনা নদীর তীরে সূর্যাস্ত অসাধারণ দেখা যায়।
৩৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-
অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতল ভূমি, নদী ও হাওরঘেরা কৃষিপ্রধান অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- গোকর্ণ ঘাট
- আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সালেহ নগর জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত।
৩৪. কিশোরগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: হাওরবেষ্টিত এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- শোলাকিয়া ঈদগাহ
- পাগলা মসজিদ
- নিকলী হাওর (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
বিশেষ তথ্য: শোলাকিয়া দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের স্থান।
৩৫. জামালপুর জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত, সবুজে ঘেরা এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- দিগপাইত শিব মন্দির
- জামালপুর সংগ্রহশালা
- সারি নদীর ঘাট
বিশেষ তথ্য: এই অঞ্চল শিল্প ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
৩৬. নওগাঁ জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রাকৃতিক জলাশয় ও সমৃদ্ধ কৃষি জমি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী বা বগুড়া থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সোমপুর মহাবিহার
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
- নিমতলী জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: পাহাড়পুর UNESCO World Heritage Site হিসেবে স্বীকৃত।
৩৭. নাটোর জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- উত্তরা গণভবন
- রানি ভবানীর রাজবাড়ি
- চাঁপাইনগর দিঘি
বিশেষ তথ্য: রানি ভবানীর ঐতিহাসিক নিদর্শন এখানে রয়েছে।
৩৮. পাবনা জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদীঘেরা ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
- রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র
- হেমায়েতপুর মন্দির
বিশেষ তথ্য: উপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মস্থল।
৩৯. বগুড়া জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে রেল ও সড়কপথে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মহাস্থানগড়
- গোকুল মেধ
- নওয়াববাড়ি
বিশেষ তথ্য: বাংলার প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র।
৪০. সুনামগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: হাওর, পাহাড় ও নদীঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট হয়ে বাস বা সিএনজিতে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- টাঙ্গুয়ার হাওর (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
- জাদুকাটা নদী
- হাছন রাজা মিউজিয়াম
বিশেষ তথ্য: টাঙ্গুয়ার হাওর দেশের অন্যতম রামসার স্থান।
৪১. মৌলভীবাজার জেলা-
অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, চা-বাগান ও নদীঘেরা অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট ও ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
- হামহাম জলপ্রপাত
- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
বিশেষ তথ্য: দেশের অন্যতম চা উৎপাদনকারী এলাকা।
৪২. হবিগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন, নদী ও ঝর্ণায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও সিলেট থেকে বাস সহজেই পাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
- রেমা-কালেঙ্গা বন
- চুনারুঘাট চা-বাগান
বিশেষ তথ্য: এ জেলার বনাঞ্চলে বিরল প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়।
৪৩. নেত্রকোনা জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, হাওর ও নদীবেষ্টিত অপূর্ব প্রকৃতি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ হয়ে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বিরিশিরি সাদা মাটি পাহাড়
- সোমেশ্বরী নদী
- বিজয়পুর চিনামাটির খনি
বিশেষ তথ্য: পাহাড় ও নদীর মিলনে গঠিত বিরল ভূপ্রকৃতি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ।
৪৪. ময়মনসিংহ জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীঘেরা উর্বর ও শিল্প-সাহিত্যনির্ভর জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন ও বাস রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- মমিনুন্নিসা কলেজ
- জহুরুল হক পার্ক
বিশেষ তথ্য: বাংলা সাহিত্যের কবি মুকুন্দদাস ও মওলানা ভাসানীর স্মৃতিবিজড়িত।
৪৫. গাজীপুর জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বনাঞ্চল ও আধুনিক শহরের মিশ্র পরিবেশ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে মাত্র ১-২ ঘণ্টার দূরত্বে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
- বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
- শ্রীপুর চৌরাস্তা পার্ক
বিশেষ তথ্য: রাজধানীর নিকটে হওয়ায় দিনভ্রমণের জন্য আদর্শ।
৪৬. নারায়ণগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ঘেরা শিল্পনগরী।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস, ট্রেন ও লঞ্চ রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- পানাম নগর
- সোনারগাঁ জাদুঘর
- মেঘনা নদীর তীর
বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিখ্যাত।
৪৭. মানিকগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীঘেরা গ্রামীণ পরিবেশ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাসে ২-৩ ঘণ্টার পথ।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বল্লাল সেনের দিঘি
- তেওতা জমিদার বাড়ি
- জোকা নদীর ধারা
বিশেষ তথ্য: সৃজনশীল নাট্যকার সেলিম আল দীন এর জন্মস্থান।
৪৮. রাজবাড়ী জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও সবুজ চরের সমাহার।
যাতায়াত ব্যবস্থা: গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- গোয়ালন্দ ফেরিঘাট
- পদ্মা নদীর পাড়
- রাজবাড়ী রেলস্টেশন
বিশেষ তথ্য: ঐতিহাসিক নদী বন্দরের জন্য পরিচিত।
৪৯. মাগুরা জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ মাঠ ও নদী-খালবেষ্টিত গ্রামীণ এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: যশোর ও ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- নলদাহ বিল
- শ্রীপুর মঠ
- মহম্মদপুর জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: কৃষিপ্রধান ও ঐতিহ্যবাহী লোকজ সংস্কৃতির এলাকা।
৫০. শেরপুর জেলা-
অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সীমান্তঘেঁষা পাহাড় ও বনাঞ্চলে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- গজনী অবকাশ কেন্দ্র
- ঝিনাইগাতি পাহাড়ি এলাকা
- সীমান্ত বাজার
বিশেষ তথ্য: পর্যটকদের জন্য সীমান্তভিত্তিক পাহাড়ি ট্রেইল ও নৈসর্গিক ভ্রমণ এলাকা।
৫১. চুয়াডাঙ্গা জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবেষ্টিত ও সমতল কৃষিজমিতে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: কুষ্টিয়া বা যশোর হয়ে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- দর্শনা রেল জংশন
- আলমডাঙ্গা যুদ্ধ স্মৃতি
- জীবননগর কুঠিবাড়ি
বিশেষ তথ্য: দেশের প্রথম রেল স্টেশন (দর্শনা) এখানেই।
৫২. মেহেরপুর জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: শান্ত প্রকৃতি ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চুয়াডাঙ্গা বা কুষ্টিয়া থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
- ভাটপাড়া রাজবাড়ি
- আমঝুপি নিদর্শন
বিশেষ তথ্য: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল এখানেই।
৫৩. নড়াইল জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও বিল-ভরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: যশোর হয়ে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- এস এম সULTAN আর্ট গ্যালারি
- চিত্রা নদীর পাড়
- লোহাগড়া জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মস্থান।
৫৪. সাতক্ষীরা জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সুন্দরবনের পাশে অবস্থিত, বনে ও সাগরে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাসে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সুন্দরবনের অংশ
- বুড়িগোয়ালিনী পর্যটন কেন্দ্র
- ইটাগাছা মঠ
বিশেষ তথ্য: রায়মঙ্গল নদী ও টাইগার পয়েন্ট এখানেই অবস্থিত।
৫৫. খুলনা জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীমাতৃক এলাকা ও বনের সংলগ্ন শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন ও বাসে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- সুন্দরবন (খুলনা অংশ)
- রূপসা নদী
- খানজাহান আলী সেতু
বিশেষ তথ্য: সুন্দরবনের মূল প্রবেশদ্বার খুলনাতে।
৫৬. বাগেরহাট জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ঐতিহাসিক স্থাপনা, নদী ও সুন্দরবনের সংলগ্ন।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাস বা প্রাইভেট কারে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- ষাটগম্বুজ মসজিদ
- খাঞ্জা খানজাহান আলীর সমাধি
- মংলা সমুদ্রবন্দর
বিশেষ তথ্য: এখানে অবস্থিত ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, যা UNESCO World Heritage Site হিসেবে স্বীকৃত।
৫৭. কুষ্টিয়া জেলা-
অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও সাহিত্যের ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহ হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- লালন শাহের মাজার
- শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
- গড়াই নদী
বিশেষ তথ্য: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে অনেক কবিতা রচনা করেন।
৫৮. সিরাজগঞ্জ জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: যমুনা নদীর তীরবর্তী সমতল ভূমি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- যমুনা সেতু
- রায়গঞ্জ জমিদার বাড়ি
- হার্ডপয়েন্ট নদীর পাড়
বিশেষ তথ্য: দেশের অন্যতম বস্ত্র শিল্প অঞ্চল।
৫৯. টাঙ্গাইল জেলা-
অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চর ও বনাঞ্চল ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- মধুপুর জাতীয় উদ্যান
- ধনবাড়ি নবাব বাড়ি
- যমুনা রিসোর্ট
বিশেষ তথ্য: টাঙ্গাইলের মিষ্টি ও চাদর বিখ্যাত।
৬০. রাজশাহী জেলা-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: আম, বরেন্দ্র ভূমি ও সাহিত্য সংস্কৃতিতে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন ও বিমানযোগে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
- পদ্মা নদীর পাড়
- আমবাগান
বিশেষ তথ্য: আম ও শিক্ষা শহর হিসেবে পরিচিত।
৬১. দিনাজপুর জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন, নদী ও কৃষিভূমিতে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও রংপুর থেকে ট্রেন ও বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- কান্তজিউ মন্দির
- রামসাগর
- দিনাজপুর রাজবাড়ি
বিশেষ তথ্য: প্রাচীন মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য বিখ্যাত।
৬২. ঠাকুরগাঁও জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সীমান্তবর্তী, সবুজ প্রান্তর ও কৃষিজমিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দিনাজপুর ও পঞ্চগড় হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- রুহিয়া জমিদার বাড়ি
- নেকমরদ মসজিদ
- ঠাকুরগাঁও সুগার মিল
বিশেষ তথ্য: সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি গ্রামগুলি আকর্ষণীয়।
৬৩. পঞ্চগড় জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দিনাজপুর থেকে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- তেতুলিয়া পর্যটন কেন্দ্র
- বাংলাবান্ধা সীমান্ত
- মিরগড় জমিদার বাড়ি
বিশেষ তথ্য: হিমালয় দর্শনের একমাত্র স্থান।
৬৪. লালমনিরহাট জেলা-
অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চর ও সীমান্তঘেঁষা প্রাকৃতিক এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
- তিস্তা ব্যারাজ
- বুড়িমারী স্থলবন্দর
- হাতিবান্ধা নদীঘাট
বিশেষ তথ্য: উত্তরের অন্যতম সীমান্ত বন্দর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথা-
“বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ” প্রতিটি জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান এবং তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে। এই গাইডটি দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য এক আদর্শ ভ্রমণ সহায়ক। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে দেখার সুযোগ এনে দেয়। আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই তথ্য হতে পারে কার্যকর ও সহায়ক।
Leave a Reply