• Skip to main content

Travel Way Info

Explore the world with trusted travel tips and info.

  • Bangladesh Travel
  • Barishal
  • Chittagong
  • Dhaka
  • Khulna
  • Sylhet
  • Mymensingh
চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান

চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান

posted on June 21, 2025

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি সমুদ্রবন্দর নগরী, যা পাহাড়, সমুদ্র ও ঐতিহাসিক স্থানের অসাধারণ সংমিশ্রণ। এই জেলায় এমন কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা যেকোনো ভ্রমণপ্রেমীর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত।

চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান বিস্তারিত-

চট্টগ্রাম একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ জেলা, যেখানে পাহাড়, সমুদ্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সেরা দশটি স্থান রয়েছে। পতেঙ্গা, ফয়েজ লেক, চন্দ্রনাথ পাহাড়সহ এসব গন্তব্যে সহজ যাতায়াত ও চমৎকার পরিবেশ ভ্রমণপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। নিচে চট্টগ্রামের সেরা ভ্রমণ স্থানগুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো

১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত-

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান, যা শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই সৈকতটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত এবং এর পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া বড় জাহাজের দৃশ্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। সৈকতে রয়েছে স্পিডবোট রাইড, ঘোড়ার গাড়ি, খাবারের দোকান ও বসার জায়গা, যা পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক। সহজ যাতায়াত, নিরাপদ পরিবেশ ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য মিলিয়ে পতেঙ্গা একটি আদর্শ সমুদ্রভ্রমণের গন্তব্য।

অবস্থান:

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানায় অবস্থিত, যা চট্টগ্রাম শহর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খুব কাছাকাছি।

প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • সমুদ্রের ঢেউ ও সূর্যাস্ত: পতেঙ্গায় বসে সরাসরি বঙ্গোপসাগরের ঢেউ দেখা ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়, যা মনমুগ্ধকর।
  • ওয়াকওয়ে ও বসার জায়গা: সৈকতের পাশে নির্মিত হয়েছে সুন্দর পাকা ওয়াকওয়ে, যেখানে হাঁটাহাঁটি ও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
  • ফুড কোর্ট ও হস্তশিল্প বাজার: স্থানীয় খাবার, নারকেলের জল, ঝিনুকের তৈরি সামগ্রী, আর্টিফিশিয়াল গহনা ও স্মৃতিচিহ্ন কেনার ভালো সুযোগ আছে।
  • নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত নেভাল বিচ ও মেরিন ড্রাইভ রোড: পতেঙ্গার পাশেই নিরাপদ ও সুসজ্জিত নেভাল বিচ রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য আরও একটি আকর্ষণ।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • চট্টগ্রাম শহর থেকে: সিএনজি, বাস বা প্রাইভেট কারে পতেঙ্গা সৈকতে পৌঁছাতে মাত্র ৩০–৪০ মিনিট সময় লাগে।
  • বিমানবন্দর থেকে: শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ১০–১৫ মিনিটে যাওয়া যায়।

✅ সুবিধা ও পরিকাঠামো:

  • নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকা হওয়ায় ভ্রমণ নিরাপদ।
  • রয়েছে বসার বেঞ্চ, পাবলিক টয়লেট, পর্যটকদের জন্য বিশ্রাম কেন্দ্র।
  • বাচ্চাদের জন্য রয়েছে হালকা বিনোদনের ব্যবস্থা।

ভ্রমণ পরামর্শ:

  • সূর্যাস্তের সময় ও সন্ধ্যার আগে যাওয়াই উত্তম, কারণ তখন ভিড় কম থাকে এবং আবহাওয়াও থাকে আরামদায়ক।
  • অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে সপ্তাহের মাঝামাঝি দিন বেছে নেওয়া ভালো।
  • সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা করতে দয়া করে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।

২. ফয়েজ লেক (Foy’s Lake)

ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের একটি প্রাকৃতিক লেক, যা পাহাড়ের বুকে অবস্থিত এবং শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। এটি ১৯২৪ সালে তৈরি একটি মানবসৃষ্ট লেক, যা এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে নৌকা ভ্রমণ, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ রয়েছে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটানোর জন্য ফয়েজ লেক এক অন্যতম আদর্শ স্থান।

অবস্থান:

ফয়েজ লেক চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী ও খালুশী এলাকার মধ্যে অবস্থিত, শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ৪-৬ কিলোমিটার দূরে।

প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • লেক ও নৌভ্রমণ: লেকের শান্ত জলে প্যাডেল বোট ও নৌকায় চড়ে প্রকৃতি উপভোগ করা যায়। লেকের চারপাশে সবুজ পাহাড় পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

  • অ্যামিউজমেন্ট পার্ক: ফয়েজ লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে আছে রোলার কোস্টার, ম্যাজিক রাইড, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন জোনসহ বিভিন্ন রাইড ও আকর্ষণ।

  • রিসোর্ট ও থাকার ব্যবস্থা: লেকের পাশে সুন্দর রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে এক রাত কাটানো যায়।

  • ছবি তোলা ও ভিডিও শ্যুট: পাহাড়, লেক, গাছপালা এবং রঙিন রাইড মিলিয়ে এটি ফটোগ্রাফি ও ভিডিও ধারণের জন্য আদর্শ স্থান।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • চট্টগ্রাম শহর থেকে: খুলশী এলাকা হয়ে রিকশা, সিএনজি বা প্রাইভেট কারে সহজেই ফয়েজ লেকে যাওয়া যায়। সময় লাগে প্রায় ২০–৩০ মিনিট।
  • ঢাকা থেকে: প্রথমে চট্টগ্রাম এসে সেখান থেকে খুলশী এলাকায় যেতে হবে।

✅ সুবিধা ও পরিকাঠামো:

  • প্রবেশ মূল্য নির্ধারিত এবং পরিবার-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা হয়।

  • রয়েছে পার্কিং, খাবারের দোকান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রেস্টরুম এবং শিশুদের জন্য আলাদা প্লে জোন।

  • অনলাইনে রিসোর্ট বুকিং ও প্রবেশ টিকিট পাওয়া যায়।

📌 ভ্রমণ পরামর্শ:

  • ছুটির দিন বা উৎসবের সময় পর্যটকের চাপ বেশি থাকে, তাই আগেভাগে যাওয়া বা অনলাইনে বুকিং করা ভালো।
  • জলের রাইডে উঠলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরুন।
  • ফুড কোর্টে স্থানীয় খাবার ট্রাই করতে ভুলবেন না।

৩. চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির-

চন্দ্রনাথ পাহাড় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্বত্য অঞ্চল রাঙ্গামাটি জেলার নাগরাছড়া উপজেলায় অবস্থিত। এই পাহাড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,২২৭ ফুট (৯৮৩ মিটার) উচ্চতায়, যা দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় হিসেবে খ্যাত। চন্দ্রনাথ মন্দির একই পাহাড়ে অবস্থিত, যা হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান এবং প্রতিবছর হাজারো ভক্তজন এখানে পূজা-অর্চনা করতে আসেন।

প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য: পাহাড়ের চূড়া থেকে পেয়ারা, রাঙ্গামাটি ও পার্বত্য এলাকা সমৃদ্ধ সবুজ বনানী এবং নিচে অবস্থিত লেকের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।
  • ধার্মিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব: চন্দ্রনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র স্থান। মন্দিরে প্রতিবছর বিশেষ উৎসব ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
  • ট্রেকিং ও হাইকিং: পাহাড়ের পথে গাছগাছালি, ঝরনা এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দর্শন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • রাঙ্গামাটি থেকে: রাঙ্গামাটি থেকে ছোট গাড়ি বা মোটরবাইক ব্যবহার করে নাগরাছড়া উপজেলা পর্যন্ত যাওয়া যায়। এরপর পাহাড়ের পাদদেশ থেকে পায়ে হেঁটে বা স্থানীয় গাইড নিয়ে মন্দিরে ওঠা যায়।
  • ঢাকা ও অন্যান্য স্থান থেকে: ঢাকা থেকে বাস অথবা ট্রেনে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখানে থেকে রাঙ্গামাটিতে আসা হয়, এরপর যাত্রা শুরু করা হয়।

✅ সুবিধা ও পরিকাঠামো:

  • পাহাড়ি পথে স্থানীয় গাইড সার্ভিস পাওয়া যায়।
  • মন্দির সংলগ্ন এলাকায় কিছুটা বিশ্রামাগার ও পিকনিক স্পট রয়েছে।
  • স্যালাইন বা বিশুদ্ধ পানি ও হালকা খাবারের ব্যবস্থা স্থানীয় বাজার থেকে করা যায়।

📌 ভ্রমণ পরামর্শ:

  • পাহাড়ে ওঠার সময় সঠিক জুতো ও পর্যাপ্ত পানি সঙ্গে নিন।
  • শারদীয় দুর্গাপূজার সময় বা বিশেষ উৎসবে ভিড় বেশি থাকে, তাই আগে পরিকল্পনা করা উচিত।
  • গাইড ছাড়াই পাহাড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই অভিজ্ঞ গাইড সঙ্গে নিন।

✅ সারসংক্ষেপ :

চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির রাঙ্গামাটির অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় আস্থা দুইয়ের এক অপরূপ সমন্বয়। পাহাড়ি ট্রেকিং, দর্শনীয় বনভূমি ও পবিত্র মন্দির দর্শন করতে চাইলে এটি এক অসাধারণ ভ্রমণ গন্তব্য।


৪. সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম ও এশিয়ার বৃহত্তম ইকোপার্ক। ১৯৯৮ সালে ৮০৮ হেক্টর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

 প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • বিরল প্রজাতির গাছপালা, ফলজ, ঔষধি গাছ এবং প্রায় ৫০ প্রজাতির অর্কিড।
  • সুপ্তধারা ও সহস্রধারা নামে দুইটি ঝর্ণা, ছোট-বড় ঝর্ণা, ঝিরিপথ, পিকনিক স্পট ও বিশ্রামাগার।
  • বানর, মায়া হরিণ, ভালুক, শূকর, বনমোরগসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী।
  • ওয়াচ টাওয়ার, কৃত্রিম লেক, গোলাপ বাগান, ক্যাকটাস হাউস, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিস্তম্ভ।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • ঢাকা থেকে: প্রথমে সীতাকুণ্ড বাজারে যেতে হবে। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ফকিরহাট বাজারে আসতে হবে, সেখান থেকে পার্ক খুব কাছেই।
  • চট্টগ্রাম থেকে: সীতাকুণ্ড বাজারের আগে ফকিরহাট বাজারে নেমে পার্কে যাওয়া যায় সহজে।

প্রবেশ ফি:

  • ব্যক্তিগত: ৫০ টাকা।
  • গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করলে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়।

ভ্রমণ উপদেশ:
প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী দেখতে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক একটি আদর্শ গন্তব্য। এখানে একদিনের ভ্রমণে পাহাড়, ঝর্ণা, বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের মিলন থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।


৫. কাপ্তাই লেক

কাপ্তাই লেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম হ্রদ, যা রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৬২ সালে গড়ে উঠেছে। কাপ্তাই লেকের চারপাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বিরাজ করে, যেখানে পাহাড়, সবুজ বন ও শান্ত জলরাশির মিলন ঘটে। পর্যটকরা এখানে নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা এবং হ্রদের তীরে অবসর উপভোগ করতে পারেন। যাতায়াতের সুবিধার কারণে কাপ্তাই লেক চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি থেকে সহজে পৌঁছানো যায়, যা এই এলাকাকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।

অবস্থান

কাপ্তাই লেক  রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত এবং এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

প্রধান আকর্ষণসমূহ

  • নৌভ্রমণ ও হাউসবোট: কাপ্তাই লেকের পরিষ্কার ও নীল জলরাশির ওপর নৌকায় ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় কার্যক্রম। হাউসবোট বা ভাসমান কটেজেও দিনভর থাকা কিংবা রাত কাটানোর সুযোগ রয়েছে।
  • পাহাড় ও দ্বীপভূমি: লেকজুড়ে ছোট ছোট সবুজ পাহাড় ও দ্বীপ রয়েছে, যা পাহাড় ও জলের মিলনে এক অপরূপ সৌন্দর্য তৈরি করেছে।
  • কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র: দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখানে অবস্থিত, যা প্রযুক্তি ও প্রকৃতির মেলবন্ধনের একটি চমৎকার নিদর্শন।
  • পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট: লেকের তীরে বিভিন্ন পিকনিক স্পট, রেস্ট হাউস, হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে, যেগুলোতে থেকে প্রকৃতির নির্জনতা উপভোগ করা যায়।

যাতায়াত ব্যবস্থা

  • চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস, প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাসে সরাসরি কাপ্তাই যেতে সময় লাগে ২.৫–৩ ঘণ্টা।
  • ঢাকা থেকে: ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বিমানে প্রথমে চট্টগ্রাম এসে, সেখান থেকে সড়কপথে কাপ্তাই যাওয়া যায়।

সুবিধা ও পরিকাঠামো

  • আধুনিক হোটেল, রিসোর্ট ও ভাসমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
  • পর্যটকদের জন্য নৌকা ভাড়া, গাইড সার্ভিস এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত।
  • স্থানীয় খাবার ও পাহাড়ি খাবার স্বাদ নেওয়ার সুযোগও আছে।

✅ ভ্রমণ পরামর্শ

  • অক্টোবর থেকে মার্চ মাস কাপ্তাই লেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময়, কারণ এ সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে।
  • লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করে নৌভ্রমণ করুন এবং পানিতে নামার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
  • সপ্তাহান্তে বেশি ভিড় হয়, তাই আগে থেকে রিসোর্ট বুক করে রাখা ভালো।

৬. ভাটিয়ারি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকা, যা তার পাহাড়ি দৃশ্য, লেক, গলফ ক্লাব এবং সেনাবাহিনীর পরিচালিত ক্যাফে ২৪ পার্কের জন্য বিখ্যাত।

অবস্থান:
ভাটিয়ারী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার হাটহাজারী সংযোগ সড়কের পাশে, চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে সীতাকুণ্ড বাজারে এসে এখান পৌঁছানো যায়।

আকর্ষণসমূহ:

  • ভাটিয়ারী লেক: প্রায় ৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কৃত্রিম লেক, যেখানে নৌকা ভ্রমণ ও মাছ ধরা জনপ্রিয়।
  • ভাটিয়ারী গল্ফ ক্লাব: দেশের অন্যতম বৃহত্তম গল্ফ ক্লাব, যা পাহাড় ও জলাধার দ্বারা ঘেরা।
  • ক্যাফে ২৪ পার্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত পরিচ্ছন্ন বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে ঝরনা, বোট রাইড ও বিভিন্ন শিশু রাইড রয়েছে।
  • ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্ট: সৈকতের কাছে অবস্থিত সেনাবাহিনী পরিচালিত রেস্টুরেন্ট থেকে বঙ্গোপসাগরের সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়।

যাতায়াত:

  • ঢাকা থেকে: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে সীতাকুণ্ড বাজারে পৌঁছে সিএনজি বা রিজার্ভ গাড়িতে ভাটিয়ারী যাওয়া যায়।
  • চট্টগ্রাম থেকে: সড়কপথে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব।

প্রবেশ ফি:
ক্যাফে ২৪ পার্কে বড়দের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ৩০ টাকা।

থাকা ও খাওয়া:
ভাটিয়ারী এলাকায় ভালো মানের রেস্টুরেন্ট ও থাকার সুযোগ রয়েছে। পার্ক থেকে চট্টগ্রাম শহর মাত্র ৩০ মিনিট দূরে, যেখানে আরও অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।


৭. শাহ আমানত শাহ মাজার

শাহ আমানত শাহ মাজার চট্টগ্রামের অন্যতম পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থান, যা ধর্মীয় পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এখানে এসে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়।

অবস্থান:
শাহ আমানত শাহ মাজার চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানায় অবস্থিত। এটি শহরের কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে সহজেই পৌঁছানো যায়।

আকর্ষণসমূহ:

  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব: মাজারটি মহান সুফি সাধক শাহ আমানত শাহ-এর স্মৃতিস্তম্ভ, যিনি চট্টগ্রামে ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
  • আধ্যাত্মিক পরিবেশ: মাজারের চারপাশ শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করে, যেখানে ভক্তরা প্রার্থনা ও দোয়া করেন।
  • বার্ষিক উলুধারান: প্রতি বছর শাহ আমানত উলুধারান মাহফিল হয়, যা ধর্মপ্রাণ মানুষদের কাছে বিশেষ আভিজাত্যপূর্ণ একটি আয়োজন।
  • স্থাপত্য সৌন্দর্য: মাজারের স্থাপত্যে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার ছোঁয়া এবং সুসজ্জিত প্রাঙ্গণ দর্শনীয়।

যাতায়াত:

  • চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকে সহজে রিকশা, সিএনজি বা বাসে মাজারে পৌঁছানো যায়।
  • শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় যাতায়াত খুবই সুবিধাজনক।

প্রবেশ ফি:
মাজারে প্রবেশের জন্য কোনো ফি নেই, এটি মুক্ত ও সবার জন্য উন্মুক্ত।

থাকা ও খাওয়া:
মাজার এলাকার আশপাশে কিছু ছোট খাবারের দোকান রয়েছে। কাছাকাছি চট্টগ্রাম শহরে ভালো মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়


৮. বাঁশখালী ইকোপার্ক

বাঁশখালী ইকোপার্ক একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য ও পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে বৈচিত্র্যময় বনজ সম্পদ, পাহাড়, হ্রদ, ঝুলন্ত ব্রিজ ও টাওয়ারের মতো আকর্ষণীয় উপাদান রয়েছে। যদিও কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন আছে, তারপরও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং পরিবেশ এখনো পর্যটকদের মন জয় করে চলেছে।

 অবস্থান :

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত বাঁশখালী ইকোপার্ক। এখানে “বামেরছড়া” ও “ডানেরছড়া” নামে দুটি প্রাকৃতিক হ্রদ রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রায় ১,০০০ হেক্টর বনভূমিতে পার্কটি গড়ে তোলা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন।

প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: উঁচু-নিচু পাহাড়, স্বচ্ছ জলধারা, ঘন সবুজ বন এবং দুইটি ঝুলন্ত সেতু — সব মিলিয়ে এক অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য তৈরি করেছে।
  • উদ্ভিদ ও প্রাণীজ বৈচিত্র্য: এখানে রয়েছে প্রায় ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদ। এছাড়া বানর, হনুমান, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, মেছোবাঘ, বাঘ, সজারু, নানা প্রজাতির অতিথি পাখি সহ বহু বন্যপ্রাণী দেখা যায়।
  • ঝুলন্ত সেতু ও টাওয়ার: পার্কের ঝুলন্ত সেতু এবং পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে পাহাড়, হ্রদ ও দূরের বঙ্গোপসাগর দেখা যায়, যা বিশেষ আকর্ষণ।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা সিএনজিতে প্রায় ৪৫–৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। সময় লাগে ২ থেকে ২.৫ ঘণ্টা।
  • ঢাকা থেকে: বাস, ট্রেন বা বিমানে চট্টগ্রাম পৌঁছে পরে সড়কপথে বাঁশখালী যেতে হয়।

অবকাঠামো ও সুবিধা:

  • পার্কে রয়েছে পিকনিক স্পট, রেস্ট হাউজ, কটেজ, রিফ্রেশমেন্ট কর্নার, ছোট চিড়িয়াখানা এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র।
  • জননিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ঝুলন্ত সেতু মাঝে মাঝে বন্ধ রাখা হয়।
  • পার্কটির এক সময় জনপ্রিয়তা কিছুটা কমে গেলেও বর্তমানে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

ভ্রমণ উপদেশ ও সতর্কতা:

  • প্রকৃতিপ্রেমী ও নিরিবিলি পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে চাওয়া দর্শনার্থীদের জন্য এটি আদর্শ স্থান।
  • বিশেষ করে শীতকালে অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে পার্ক আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
  • যাতায়াত ও পার্কের কিছু স্থাপনা এখনও পুরোপুরি ঠিকঠাক নয়, তাই সতর্কতা অবলম্বন করে ঘোরা উচিত।

৯. নেভাল বিচ ও মেরিন ড্রাইভ

নেভাল বিচ ও মেরিন ড্রাইভ চট্টগ্রামের এক আধুনিক ও নিরাপদ ভ্রমণ গন্তব্য, যেখানে সৈকতের নির্মল বাতাস, সূর্যাস্ত এবং নৌবাহিনীর শৃঙ্খলিত পরিবেশ পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। এটি পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ঘোরার উপযুক্ত জায়গা।

অবস্থান ও পরিচিতি:

নেভাল বিচ ও মেরিন ড্রাইভ চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকার পাশে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন স্পট। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও নিয়মনিষ্ঠ পরিবেশ পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়।

প্রধান আকর্ষণসমূহ:

  • নেভাল বিচ:
    একটি নিরিবিলি ও পরিষ্কার সৈকত, যেখানে পর্যটকরা আরাম করে সময় কাটাতে পারেন। এখানে বসার জায়গা, প্রাকৃতিক বাতাস ও সূর্যাস্ত উপভোগের দারুণ সুযোগ রয়েছে।
  • মেরিন ড্রাইভ:
    সৈকতের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মেরিন ড্রাইভ রোডটি গাড়ি চালানো ও হেঁটে বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত। এই রাস্তাটি একপাশে বঙ্গোপসাগর ও অন্যপাশে পাহাড়ি দৃশ্য উপভোগের অসাধারণ অনুভূতি দেয়।
  • ফটোস্পট ও খাবার দোকান:
    রাস্তার পাশে রয়েছে নানা ধরনের স্টল, ফুড কোর্ট, ছোট হস্তশিল্প ও ফটোস্টলে ছবি তোলার সুযোগ।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

  • চট্টগ্রাম শহর থেকে: নেভাল বিচ পতেঙ্গা এলাকায় হওয়ায় যেকোনো জায়গা থেকে রিকশা, সিএনজি, বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে সরাসরি যাওয়া যায়।
  • শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে: সৈকত খুব কাছেই, মাত্র ১০–১৫ মিনিটের দূরত্ব।

সুবিধা ও নিরাপত্তা:

  • বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকায় এলাকা অত্যন্ত নিরাপদ ও পরিষ্কার।
  • পার্কিং, বসার বেঞ্চ, ওয়াশরুম, ফুড কোর্ট এবং শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে।

ভ্রমণ উপদেশ:

  • সকাল বা বিকেল সময় সবচেয়ে উপভোগ্য।
  • সমুদ্রের ধারে হেঁটে বেড়ানোর সময় সতর্ক থাকুন।
  • সৈকতের পাশে খাবার খেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

১০. বাটালি হিল (Batali Hill)

বাটালি হিল চট্টগ্রাম শহরের ভেতরেই অবস্থিত একটি চমৎকার ভ্রমণস্থান, যেখানে আপনি পাবেন ইতিহাস, পাহাড়ি পরিবেশ এবং শহরের অসাধারণ দৃশ্যপটের একত্র অভিজ্ঞতা। এটি চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থানসমূহ এর মধ্যে অন্যতম, যা অল্প সময়ের ঘোরাঘুরি, ট্রেকিং বা সূর্যাস্ত উপভোগের জন্য আদর্শ। শহরের ব্যস্ততা থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে প্রকৃতির কাছে যেতে চাইলে বাটালি হিল হতে পারে আপনার সেরা গন্তব্য

অবস্থান ও পরিচিতি:

বাটালি হিল, যা স্থানীয়ভাবে জিলাপি পাহাড় নামেও পরিচিত, এটি চট্টগ্রাম শহরের টাইগার পাস এলাকায় অবস্থিত এবং শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে। এটি চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ স্থান, যার উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট (৮৫ মিটার)। এই পাহাড়ের পাকানো পথ জিলাপির মতো আকৃতির হওয়ায় স্থানীয়রা একে জিলাপি পাহাড় বলে ডাকেন।

বাটালি হিলের আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • চট্টগ্রাম শহরের প্যানোরামিক ভিউ: বাটালি হিলের চূড়া থেকে পুরো চট্টগ্রাম শহর এবং বঙ্গোপসাগরের অপূর্ব দৃশ্য এক নজরে দেখা যায়। সূর্যাস্তের সময় এই দৃশ্য হয়ে ওঠে আরও মোহময়।
  • শতায়ু অঙ্গন (বিশ্রামাগার): দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য রয়েছে ছায়াঘেরা বসার স্থান, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ।
  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানে স্থাপিত হয়েছিল সিগন্যালিং সিস্টেম ও কামান, যা একে চট্টগ্রামের একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে আলাদা গুরুত্ব দেয়।
  • উদ্ভিদ ও পরিবেশ: বাংলাদেশ পুলিশের পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে এখানে জলপাই, আম, লিচু, চন্দন, কফি ইত্যাদি সহ হাজারো গাছ রোপণ করা হয়েছে, যা বাটালি হিলকে সবুজ ও প্রাণবন্ত করেছে।

যাতায়াত ব্যবস্থা (কিভাবে যাবেন বাটালি হিল):

বাটালি হিলে যাতায়াত অত্যন্ত সহজ। চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো এলাকা থেকে রিকশা, সিএনজি বা লোকাল বাসে টাইগার পাস মোড় পর্যন্ত যাওয়া যায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বা ব্যক্তিগত গাড়িতে সরাসরি হিলের চূড়ায় পৌঁছানো যায়।

✅ সুবিধা ও সতর্কতা:

  • পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে ছায়া ঘেরা বসার জায়গা, প্রাকৃতিক বাতাস ও নিরিবিলি পরিবেশ।
  • নিরাপদ চলাচলের জন্য কংক্রিট পথ এবং রেলিং রয়েছে।
  • তবে সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর অভাব ও কম ভিড় থাকায় একা ওঠা এড়িয়ে চলাই ভালো।

উপসংহার-

চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান শুধুমাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার এক অসাধারণ সংমিশ্রণ। আপনি যদি বাংলাদেশের ভ্রমণ গন্তব্য খুঁজে থাকেন, তাহলে চট্টগ্রামের এসব স্থান আপনাকে দেবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।


চট্টগ্রামের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান – FAQ (প্রশ্নোত্তর)

১. চট্টগ্রামে ভ্রমণের জন্য উপযোগী সময়?
চট্টগ্রামে শীতকাল (অক্টোবর থেকে মার্চ) ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এ সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং বৃষ্টিপাত কম হয়।

২. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত কিভাবে যাব?
চট্টগ্রাম শহর থেকে সিএনজি, বাস বা প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটে পতেঙ্গা সৈকতে পৌঁছানো যায়। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকেও ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে।

৩. ফয়েজ লেকে কি ধরনের বিনোদনের সুযোগ আছে?
ফয়েজ লেকে নৌকাবিহার, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইড, জল পার্ক, এবং পরিবার-বান্ধব রেস্টুরেন্ট সুবিধা রয়েছে।

৪. চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার জন্য কী প্রস্তুতি নিতে হবে?
পাহাড়ি এলাকায় ট্রেকিং হবে বলে ভালো জুতা, পর্যাপ্ত পানি ও হালকা খাবার সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন। গাইড নিলে নিরাপদ হয়।

৫. কাপ্তাই লেকের নৌকাভ্রমণে কি কি নিয়ম মানা উচিত?
নৌকাভ্রমণের সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।

৬. বাঁশখালী ইকোপার্কে কী ধরনের প্রাণী দেখা যেতে পারে?
এখানে বানর, হনুমান, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, মেছোবাঘ, বাঘসহ নানা বন্যপ্রাণী দেখা যায়।

৭. ভাটিয়ারী গল্ফ ক্লাবে খেলতে গেলে কি অনুমতি নিতে হবে?
গল্ফ ক্লাবটি জনসাধারণের জন্য খোলা হলেও আগে থেকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া উত্তম।

৮. শাহ আমানত শাহ মাজারে প্রবেশের জন্য ফি আছে কি?
না, মাজারে প্রবেশ সম্পূর্ণ মুক্ত এবং কোনো ফি নেই।

৯. নেভাল বিচ ও মেরিন ড্রাইভের নিরাপত্তা কেমন?
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকায় এখানকার নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা খুব ভালো।

১০. বাটালি হিলে উঠতে কতো সময় লাগে?
চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্র থেকে রিকশা বা সিএনজি নিয়ে টাইগার পাস পর্যন্ত যাওয়া যায়। এরপর পায়ে হেঁটে বা গাড়ি নিয়ে ১০-১৫ মিনিটে বাটালি হিলের চূড়ায় পৌঁছানো যায়।



➡️ আরও ভ্রমণ গাইড পড়ুন: সেন্টমার্টিন ভ্রমণ

Filed Under: Chittagong

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • About us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Disclaimer

Copyright@2025 Protected by Travel Way Info

Go to mobile version