• Skip to main content

Travel Way Info

Explore the world with trusted travel tips and info.

  • Bangladesh Travel
  • Barishal
  • Chittagong
  • Dhaka
  • Khulna
  • Sylhet
  • Mymensingh
বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ – Bangladesh

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ – Bangladesh

posted on May 14, 2025

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মিলন। এই গাইডে আপনি প্রতিটি জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল বিবরণ পাবেন। প্রাচীন মন্দির, ঐতিহাসিক মসজিদ, মনোরম পাহাড়, মনমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকত ও জীবন্ত বনভূমির মতো আকর্ষণগুলো তুলে ধরা হয়েছে এখানে। বাংলাদেশের পর্যটনপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ভ্রমণ সহচর।

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ:

১. কক্সবাজার জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পাহাড়, ঝরনা ও সবুজ বনভূমিতে পরিপূর্ণ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা প্লেনে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
  • ইনানী ও হিমছড়ি
  • মহেশখালী দ্বীপ
  • রামু বৌদ্ধ বিহার
  • মারিশবুনিয়া জলপ্রপাত

বিশেষ তথ্য: পর্যটনের জন্য বছরের প্রায় সবসময়ই উপযুক্ত। হোটেল, রিসোর্ট ও খাবারের দোকানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।



২. সিলেট জেলা-

অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: চা-বাগান, পাহাড় ও জলাভূমির অপূর্ব সমন্বয়।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন, বাস ও প্লেন সুবিধা রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • জাফলং
  • বিছানাকান্দি
  • রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
  • লালাখাল
  • হযরত শাহজালাল (র.) মাজার

বিশেষ তথ্য: বর্ষায় প্রকৃতি আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে। ফটো তুলতে ও প্রাকৃতিক ভ্রমণের জন্য আদর্শ।



৩. রাজশাহী জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী তীরবর্তী শহর; শীতকালে নানারকম পাখির আবাসস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রেল, বাস ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সহজে পৌঁছানো যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
  • পুঠিয়া রাজবাড়ি
  • বাঘা মসজিদ
  • পদ্মা নদীর তীর

বিশেষ তথ্য: আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিক স্থাপনার ভাণ্ডার।



৪. বান্দরবান জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, ঝরনা ও আদিবাসী সংস্কৃতির মিলনস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চট্টগ্রাম থেকে বাসে যেতে হয়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নীলগিরি ও নীলাচল
  • বগা লেক
  • চিম্বুক পাহাড়
  • স্বর্ণ মন্দির

বিশেষ তথ্য: পাহাড়ি পথে ভ্রমণের সময় সতর্কতা আবশ্যক। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।



৫. সুন্দরবন (বাগেরহাট জেলা)-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা বা মংলা থেকে নৌকায় যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • হিরণ পয়েন্ট
  • কচিখালি
  • হারবাড়িয়া
  • করমজল

বিশেষ তথ্য: এটি একটি UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য অনুরাগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ও চিত্তাকর্ষক ভ্রমণ গন্তব্য।



৬. দিনাজপুর জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও মাঠঘেরা সমতল অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ট্রেন ও বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কান্তজিউ মন্দির
  • রামসাগর দীঘি
  • নবারুণ পার্ক

বিশেষ তথ্য: কান্তজিউ মন্দির বাংলাদেশের অনন্য স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর একটি।



৭. মৌলভীবাজার জেলা-

অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: চা-বাগান ও পাহাড়ি বনাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট হয়ে বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
  • হাম হাম ঝরনা
  • মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত

বিশেষ তথ্য: জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ও ট্রেকিংয়ের জন্য আদর্শ এলাকা।



৮. চট্টগ্রাম জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, সমুদ্র ও বন্দরনগরী একত্রে মিলিত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রেল, বাস ও প্লেনে সহজে পৌঁছানো যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
  • ফয়’স লেক
  • বাটালি হিল
  • চট্টগ্রাম যুদ্ধ জাদুঘর

বিশেষ তথ্য: বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতির ছোঁয়াও রয়েছে।



৯. কুড়িগ্রাম জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদী ও নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বাস ও ট্রেনে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • চিলমারী নদীর ঘাট
  • নাগেশ্বরী মন্দির
  • ফুলবাড়ী চরাঞ্চল

বিশেষ তথ্য: মেঘলা দিনে চর এলাকায় সূর্যাস্ত অসাধারণ দৃশ্য দেয়।



১০. নড়াইল জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবেষ্টিত অঞ্চল, গ্রামীণ সৌন্দর্যে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • এসএম সুলতান স্মৃতি জাদুঘর
  • চিত্রা নদী
  • লোহাগড়া রাজবাড়ি

বিশেষ তথ্য: চিত্র শিল্পী এসএম সুলতানের জন্মভূমি। কৃষ্টিমুখর পরিবেশ।



১১. ময়মনসিংহ জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদী, সবুজ মাঠ ও নদীঘেরা শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন, বাস ও সিএনজিতে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
  • মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
  • শশী Lodge
  • ধোবাউড়া পাহাড়ি এলাকা

বিশেষ তথ্য: সংস্কৃতিমনস্ক শহর, সাহিত্যিক ময়মনসিংহ গীতিকার জন্য বিখ্যাত।



১২. রাঙ্গামাটি জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, লেক ও আদিবাসী সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কাপ্তাই লেক
  • শুভলং ঝরনা
  • রাঙ্গামাটি হাংগিং ব্রিজ
  • রাজবন বিহার
  • সাজেক ভ্যালি

বিশেষ তথ্য: নৌভ্রমণের জন্য আদর্শ। পাহাড়ি খাবার ও সংস্কৃতি অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।



১৩. কুমিল্লা জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতলভূমি ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ট্রেন রুটে অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ময়নামতি জাদুঘর ও বৌদ্ধ বিহার
  • সালনা রাজবাড়ি
  • ধর্মসাগর দীঘি

বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনসমূহ এখানে সংরক্ষিত।



১৪. বরিশাল জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবহুল অঞ্চল; গ্রামবাংলার শান্ত পরিবেশ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: নৌপথে লঞ্চে ঢাকা থেকে যাওয়া যায়। এছাড়া রেল ও সড়কপথও রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • দুর্গাসাগর দীঘি
  • গুটিয়াকালী মন্দির
  • লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী শহর।



১৫. ফরিদপুর জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও ফসলি মাঠে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও প্রাইভেট কারে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • পদ্মা নদীর পাড়
  • শ্রীঅঙ্গন মঠ
  • রাজেন্দ্র কলেজ

বিশেষ তথ্য: বাঙালি নেতাদের অন্যতম মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান।



১৬. গাজীপুর জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বনাঞ্চল ও আধা-শহুরে পরিবেশের মিশেল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকার খুব কাছেই, সড়কপথে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
  • ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
  • নন্দন পার্ক

বিশেষ তথ্য: পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য।



১৭. নারায়ণগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও শিল্পাঞ্চলের শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সড়ক ও রেলপথে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর
  • পানাম নগর
  • মেঘনা নদীর তীর

বিশেষ তথ্য: ঐতিহ্যবাহী “পানাম সিটি” দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর।



১৮. টাঙ্গাইল জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চরাঞ্চল ও হাওরের সমন্বয়ে গঠিত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মহেরা জমিদার বাড়ি
  • ধনবাড়ি নবাব বাড়ি
  • মধুপুর গড়

বিশেষ তথ্য: বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তিস্থল।



১৯. নেত্রকোনা জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়ি নদী ও হাওরের সমন্বয়।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ হয়ে বাস ও সিএনজিতে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড়
  • দূর্গাপুর শহর
  • মোহনগঞ্জ হাওর

বিশেষ তথ্য: বর্ষাকালে হাওর এলাকা অপূর্ব সৌন্দর্যে ভরে ওঠে।



২০. সিরাজগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: যমুনা নদীবেষ্টিত অঞ্চল; চরাঞ্চল বেশ বিস্তৃত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ট্রেন ও বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • যমুনা সেতু
  • হার্ডিঞ্জ ব্রিজ (ভাগে পড়ে)
  • এনায়েতপুর দরগা

বিশেষ তথ্য: যমুনা নদী ও সেতু দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।



২১. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও আমের বাগানে পরিপূর্ণ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী হয়ে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সোনা মসজিদ
  • নাচোল রাজবাড়ি
  • আম বাগান পর্যটন এলাকা

বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের ‘আমের রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত।



২২. ঝিনাইদহ জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতল ভূমি ও কৃষিভিত্তিক অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও খুলনা থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নারায়ণপুর মন্দির
  • কোটচাঁদপুর শিব মন্দির
  • মহেশপুর জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: গ্রামীণ সৌন্দর্যে ঘেরা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ।



২৩. লক্ষ্মীপুর জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মেঘনা নদীবেষ্টিত উপকূলীয় সমতল অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মজু চৌধুরীর হাট
  • রামগতি মেঘনা পাড়
  • চর আলেকজান্ডার

বিশেষ তথ্য: সুন্দর চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী পর্যটনের জন্য জনপ্রিয়।



২৪. নোয়াখালী জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: উপকূলীয় পরিবেশ, চরাঞ্চল এবং কৃষিভিত্তিক এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সোনাপুর সৈকত
  • চর কুকরি-মুকরি
  • বেগমগঞ্জ জাদুঘর

বিশেষ তথ্য: বঙ্গোপসাগরের নিকটে অবস্থান, চরভ্রমণে আকর্ষণীয় স্থান।



২৫. মাদারীপুর জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীবেষ্টিত এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ফেরি ও সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কাঠালতলী জমিদার বাড়ি
  • শিবচর নদীর পাড়
  • গোপালপুর চৌধুরী বাড়ি

বিশেষ তথ্য: নদীকেন্দ্রিক জীবনধারা এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়।



২৬. শরীয়তপুর জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীমাতৃক পরিবেশ ও সবুজ চরাঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নড়িয়া নদীর পাড়
  • ডামুড্যা হাওর
  • জাজিরা চরের প্রাকৃতিক দৃশ্য

বিশেষ তথ্য: নদীভ্রমণ এবং মাছ ধরার জন্য আদর্শ স্থান।



২৭. পিরোজপুর জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, খাল ও গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল হয়ে বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ভাণ্ডারিয়া বন
  • মঠবাড়িয়া কুঠিবাড়ি
  • স্বরূপকাঠি নদীবন্দর

বিশেষ তথ্য: নৌপথে ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় একটি জেলা।



২৮. ঝালকাঠি জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন ও খালবেষ্টিত জনপদ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল ও পিরোজপুর থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • গাবখান চ্যানেল
  • সুন্দরবন উপকণ্ঠ
  • ঝালকাঠি খেয়াঘাট

বিশেষ তথ্য: আদর্শ নদীভ্রমণ ও কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ছবি তোলার স্থান।



২৯. ভোলা জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল থেকে লঞ্চে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • চর কুকরি-মুকরি
  • মনপুরা দ্বীপ
  • ভোলা শহরের নদীপাড়

বিশেষ তথ্য: চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ ও ছবির মতো নৈসর্গিক।



৩০. পটুয়াখালী জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমুদ্র ও নদীঘেরা উপকূলীয় জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে লঞ্চ অথবা বরিশাল হয়ে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
  • লেম্বুর চর
  • সুন্দরি বনাংশ

বিশেষ তথ্য: সাগর দেখার একমাত্র স্থান যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়।



৩১. বরগুনা জেলা-

অবস্থান: বরিশাল বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সাগর ও বনাঞ্চলের মিলনে গঠিত উপকূলীয় এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: বরিশাল থেকে বাস ও লঞ্চে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • তালতলী সমুদ্র সৈকত
  • পাথরঘাটা মৎস্যবন্দর
  • বিবিচিনি মসজিদ

বিশেষ তথ্য: সুন্দরবনের উপকণ্ঠে হওয়ায় জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।



৩২. চাঁদপুর জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মেঘনা ও পদ্মার মিলনস্থল। ইলিশের জন্য বিখ্যাত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মিনি কক্সবাজার
  • বড়স্টেশন চাঁদপুর
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর

বিশেষ তথ্য: মেঘনা নদীর তীরে সূর্যাস্ত অসাধারণ দেখা যায়।



৩৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-

অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সমতল ভূমি, নদী ও হাওরঘেরা কৃষিপ্রধান অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • গোকর্ণ ঘাট
  • আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  • সালেহ নগর জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত।



৩৪. কিশোরগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: হাওরবেষ্টিত এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে সহজেই যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • শোলাকিয়া ঈদগাহ
  • পাগলা মসজিদ
  • নিকলী হাওর (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)

বিশেষ তথ্য: শোলাকিয়া দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের স্থান।



৩৫. জামালপুর জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত, সবুজে ঘেরা এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • দিগপাইত শিব মন্দির
  • জামালপুর সংগ্রহশালা
  • সারি নদীর ঘাট

বিশেষ তথ্য: এই অঞ্চল শিল্প ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।



৩৬. নওগাঁ জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রাকৃতিক জলাশয় ও সমৃদ্ধ কৃষি জমি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী বা বগুড়া থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সোমপুর মহাবিহার
  • পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
  • নিমতলী জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: পাহাড়পুর UNESCO World Heritage Site হিসেবে স্বীকৃত।



৩৭. নাটোর জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজশাহী থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • উত্তরা গণভবন
  • রানি ভবানীর রাজবাড়ি
  • চাঁপাইনগর দিঘি

বিশেষ তথ্য: রানি ভবানীর ঐতিহাসিক নিদর্শন এখানে রয়েছে।



৩৮. পাবনা জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদীঘেরা ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
  • রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র
  • হেমায়েতপুর মন্দির

বিশেষ তথ্য: উপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মস্থল।



৩৯. বগুড়া জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে রেল ও সড়কপথে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মহাস্থানগড়
  • গোকুল মেধ
  • নওয়াববাড়ি

বিশেষ তথ্য: বাংলার প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র।



৪০. সুনামগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: হাওর, পাহাড় ও নদীঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট হয়ে বাস বা সিএনজিতে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • টাঙ্গুয়ার হাওর (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
  • জাদুকাটা নদী
  • হাছন রাজা মিউজিয়াম

বিশেষ তথ্য: টাঙ্গুয়ার হাওর দেশের অন্যতম রামসার স্থান।



৪১. মৌলভীবাজার জেলা-

অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, চা-বাগান ও নদীঘেরা অঞ্চল।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সিলেট ও ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
  • হামহাম জলপ্রপাত
  • মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত

বিশেষ তথ্য: দেশের অন্যতম চা উৎপাদনকারী এলাকা।



৪২. হবিগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: সিলেট বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন, নদী ও ঝর্ণায় ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও সিলেট থেকে বাস সহজেই পাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
  • রেমা-কালেঙ্গা বন
  • চুনারুঘাট চা-বাগান

বিশেষ তথ্য: এ জেলার বনাঞ্চলে বিরল প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়।



৪৩. নেত্রকোনা জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, হাওর ও নদীবেষ্টিত অপূর্ব প্রকৃতি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ হয়ে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বিরিশিরি সাদা মাটি পাহাড়
  • সোমেশ্বরী নদী
  • বিজয়পুর চিনামাটির খনি 

বিশেষ তথ্য: পাহাড় ও নদীর মিলনে গঠিত বিরল ভূপ্রকৃতি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ।



৪৪. ময়মনসিংহ জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীঘেরা উর্বর ও শিল্প-সাহিত্যনির্ভর জেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন ও বাস রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
  • মমিনুন্নিসা কলেজ
  • জহুরুল হক পার্ক

বিশেষ তথ্য: বাংলা সাহিত্যের কবি মুকুন্দদাস ও মওলানা ভাসানীর স্মৃতিবিজড়িত।



৪৫. গাজীপুর জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বনাঞ্চল ও আধুনিক শহরের মিশ্র পরিবেশ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে মাত্র ১-২ ঘণ্টার দূরত্বে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
  • বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি (বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান)
  • শ্রীপুর চৌরাস্তা পার্ক

বিশেষ তথ্য: রাজধানীর নিকটে হওয়ায় দিনভ্রমণের জন্য আদর্শ।



৪৬. নারায়ণগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ঘেরা শিল্পনগরী।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস, ট্রেন ও লঞ্চ রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • পানাম নগর
  • সোনারগাঁ জাদুঘর
  • মেঘনা নদীর তীর

বিশেষ তথ্য: বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিখ্যাত।



৪৭. মানিকগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীঘেরা গ্রামীণ পরিবেশ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাসে ২-৩ ঘণ্টার পথ।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বল্লাল সেনের দিঘি
  • তেওতা জমিদার বাড়ি
  • জোকা নদীর ধারা

বিশেষ তথ্য: সৃজনশীল নাট্যকার সেলিম আল দীন এর জন্মস্থান।



৪৮. রাজবাড়ী জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: পদ্মা নদী ও সবুজ চরের সমাহার।
যাতায়াত ব্যবস্থা: গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • গোয়ালন্দ ফেরিঘাট
  • পদ্মা নদীর পাড়
  • রাজবাড়ী রেলস্টেশন

বিশেষ তথ্য: ঐতিহাসিক নদী বন্দরের জন্য পরিচিত।



৪৯. মাগুরা জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ মাঠ ও নদী-খালবেষ্টিত গ্রামীণ এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: যশোর ও ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • নলদাহ বিল
  • শ্রীপুর মঠ
  • মহম্মদপুর জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: কৃষিপ্রধান ও ঐতিহ্যবাহী লোকজ সংস্কৃতির এলাকা।



৫০. শেরপুর জেলা-

অবস্থান: ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সীমান্তঘেঁষা পাহাড় ও বনাঞ্চলে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • গজনী অবকাশ কেন্দ্র
  • ঝিনাইগাতি পাহাড়ি এলাকা
  • সীমান্ত বাজার

বিশেষ তথ্য: পর্যটকদের জন্য সীমান্তভিত্তিক পাহাড়ি ট্রেইল ও নৈসর্গিক ভ্রমণ এলাকা।



৫১. চুয়াডাঙ্গা জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীবেষ্টিত ও সমতল কৃষিজমিতে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: কুষ্টিয়া বা যশোর হয়ে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • দর্শনা রেল জংশন
  • আলমডাঙ্গা যুদ্ধ স্মৃতি
  • জীবননগর কুঠিবাড়ি

বিশেষ তথ্য: দেশের প্রথম রেল স্টেশন (দর্শনা) এখানেই।



৫২. মেহেরপুর জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: শান্ত প্রকৃতি ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: চুয়াডাঙ্গা বা কুষ্টিয়া থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
  • ভাটপাড়া রাজবাড়ি
  • আমঝুপি নিদর্শন

বিশেষ তথ্য: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল এখানেই।



৫৩. নড়াইল জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও বিল-ভরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: যশোর হয়ে বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • এস এম সULTAN আর্ট গ্যালারি
  • চিত্রা নদীর পাড়
  • লোহাগড়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মস্থান।



৫৪. সাতক্ষীরা জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সুন্দরবনের পাশে অবস্থিত, বনে ও সাগরে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাসে সহজে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সুন্দরবনের অংশ
  • বুড়িগোয়ালিনী পর্যটন কেন্দ্র
  • ইটাগাছা মঠ

 

বিশেষ তথ্য: রায়মঙ্গল নদী ও টাইগার পয়েন্ট এখানেই অবস্থিত।



৫৫. খুলনা জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদীমাতৃক এলাকা ও বনের সংলগ্ন শহর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে ট্রেন ও বাসে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • সুন্দরবন (খুলনা অংশ)
  • রূপসা নদী
  • খানজাহান আলী সেতু

বিশেষ তথ্য: সুন্দরবনের মূল প্রবেশদ্বার খুলনাতে।



৫৬. বাগেরহাট জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: ঐতিহাসিক স্থাপনা, নদী ও সুন্দরবনের সংলগ্ন।
যাতায়াত ব্যবস্থা: খুলনা থেকে বাস বা প্রাইভেট কারে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • ষাটগম্বুজ মসজিদ
  • খাঞ্জা খানজাহান আলীর সমাধি
  • মংলা সমুদ্রবন্দর

বিশেষ তথ্য: এখানে অবস্থিত ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, যা UNESCO World Heritage Site হিসেবে স্বীকৃত।



৫৭. কুষ্টিয়া জেলা-

অবস্থান: খুলনা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী ও সাহিত্যের ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহ হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • লালন শাহের মাজার
  • শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
  • গড়াই নদী

বিশেষ তথ্য: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে অনেক কবিতা রচনা করেন।



৫৮. সিরাজগঞ্জ জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: যমুনা নদীর তীরবর্তী সমতল ভূমি।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • যমুনা সেতু
  • রায়গঞ্জ জমিদার বাড়ি
  • হার্ডপয়েন্ট নদীর পাড়

বিশেষ তথ্য: দেশের অন্যতম বস্ত্র শিল্প অঞ্চল।



৫৯. টাঙ্গাইল জেলা-

অবস্থান: ঢাকা বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চর ও বনাঞ্চল ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • মধুপুর জাতীয় উদ্যান
  • ধনবাড়ি নবাব বাড়ি
  • যমুনা রিসোর্ট

বিশেষ তথ্য: টাঙ্গাইলের মিষ্টি ও চাদর বিখ্যাত।



৬০. রাজশাহী জেলা-

অবস্থান: রাজশাহী বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: আম, বরেন্দ্র ভূমি ও সাহিত্য সংস্কৃতিতে ভরপুর।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন ও বিমানযোগে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
  • পদ্মা নদীর পাড়
  • আমবাগান

বিশেষ তথ্য: আম ও শিক্ষা শহর হিসেবে পরিচিত।



৬১. দিনাজপুর জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সবুজ বন, নদী ও কৃষিভূমিতে ঘেরা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা ও রংপুর থেকে ট্রেন ও বাসে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • কান্তজিউ মন্দির
  • রামসাগর
  • দিনাজপুর রাজবাড়ি

বিশেষ তথ্য: প্রাচীন মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য বিখ্যাত।



৬২. ঠাকুরগাঁও জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সীমান্তবর্তী, সবুজ প্রান্তর ও কৃষিজমিতে সমৃদ্ধ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দিনাজপুর ও পঞ্চগড় হয়ে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • রুহিয়া জমিদার বাড়ি
  • নেকমরদ মসজিদ
  • ঠাকুরগাঁও সুগার মিল

বিশেষ তথ্য: সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি গ্রামগুলি আকর্ষণীয়।



৬৩. পঞ্চগড় জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দিনাজপুর থেকে সরাসরি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • তেতুলিয়া পর্যটন কেন্দ্র
  • বাংলাবান্ধা সীমান্ত
  • মিরগড় জমিদার বাড়ি

বিশেষ তথ্য: হিমালয় দর্শনের একমাত্র স্থান।



৬৪. লালমনিরহাট জেলা-

অবস্থান: রংপুর বিভাগ
প্রাকৃতিক পরিবেশ: নদী, চর ও সীমান্তঘেঁষা প্রাকৃতিক এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে সড়কপথে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:

  • তিস্তা ব্যারাজ
  • বুড়িমারী স্থলবন্দর
  • হাতিবান্ধা নদীঘাট

বিশেষ তথ্য: উত্তরের অন্যতম সীমান্ত বন্দর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।



শেষ কথা-

“বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ” প্রতিটি জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান এবং তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে। এই গাইডটি দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য এক আদর্শ ভ্রমণ সহায়ক। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে দেখার সুযোগ এনে দেয়। আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই তথ্য হতে পারে কার্যকর ও সহায়ক।

Filed Under: Bangladesh Travel

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • About us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Disclaimer

Copyright@2025 Protected by Travel Way Info

Go to mobile version